‘রাষ্ট্র সংস্কার’ রূপরেখা, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ২৭ বিষয় ঘোষণা আসতে পারে

প্রকাশঃ নভেম্বর ২১, ২০২২ সময়ঃ ১০:২১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:২১ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিবেদন

আগামী ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে দেশের রাজনীতির মঞ্চ গরম হয়ে উঠেছে। এরই অংশ হিসেবে বিরোধী দল বিএনপি দেশের সব বিভাগে সমাবেশ শেষ করে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তবে এর আগেই বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ‘রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার’ শিরোনামে নতুন একটি রূপরেখা তৈরি করছে, যা ঘোষণা করবে।

আবারো ‘জাতীয় সরকার’ প্রস্তাবটি সামনে এসেছে। কারণ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা শরিক হবেন তাদের নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা হবে বলেই জানিয়ে রেখেছে। এ জাতীয় সরকারের মাধ্যমে রূপরেখায় উল্লেখ করা বিষয়গুলো সংস্কার করবে বিএনপি। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা সমাবেশে বা তার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রূপরেখার ঘোষণা আসতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ‘রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার’ রূপরেখায় যেসব বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, সংবিধান সংস্কারে কমিশন গঠন, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রচলন, প্রশাসনিক সংস্কারে কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনের সংশোধন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আইনের সংস্কার, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক হত্যার বিচারের জন্য মিডিয়া কমিশন গঠন, জাতীয় সমঝোতা কমিশন গঠন, দুর্নীতি বন্ধে ন্যায়পাল নিয়োগ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা তৈরি, বেকার ভাতা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন। এমন মোট ২৭টি বিষয় ওই রূপরেখায় স্থান পেয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে আমাদের রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। সেখানে জনগণের চাহিদা বিবেচনায় সামনের দিনে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের পরিকল্পনা করছি। যা সময় মতো প্রকাশ করা হবে।

‘যুগপৎ আন্দোলনের জন্য আমরা অনেকের সঙ্গে সংলাপ করেছি। তাদের পক্ষ থেকে যেসব দাবি-দাওয়া এসেছে, সেগুলো সমন্বয় করে আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তৈরি হচ্ছে’— উল্লেখ করেন মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, প্রশাসনের সংস্কার এবং সংবিধানের বিতর্কিত ধারাগুলোর সংশোধনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রূপরেখায় সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকবে আমাদের।

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রূপরেখা ঘোষণা করা হবে কি না— জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে। দেখা যাক কী হয়?’

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G